রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামীকাল শুক্রবারের ছাত্রসমাবেশ ঘিরে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রলীগ। সংগঠনটি বলছে, এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে ছাত্রসমাজ উচ্চারণ করবে, ‘ওয়ানস অ্যাগেইন শেখ হাসিনা।’
সারা দেশ থেকে অন্তত পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী এতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এই সংগঠন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল তিনটায় একই জায়গায় এই ছাত্রসমাবেশ হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা একটি ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা স্মরণকালের বৃহত্তম ছাত্রসমাবেশ করতে যাচ্ছি। এটি শুধু সংখ্যায় বৃহত্তম হবে না, এই ছাত্রসমাবেশের রাজনৈতিক প্রভাব রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অবিশ্বাস্য পরিবর্তন নিয়ে আসবে।’ ‘নো কম্প্রোমাইজ উইথ দ্য কিলার্স’—বার্তাটি ছাত্রসমাবেশের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে জানান তিনি।
ছাত্রলীগ সভাপতি আরও বলেন, একজন শেখ হাসিনাকে নিয়ে দেশের সব পর্যায়ের লাখো শিক্ষার্থীর হৃদয়ে যে প্রচণ্ড উচ্ছ্বাস রয়েছে, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর জন্য এই সমাবেশকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এটি আর শুধু ছাত্রলীগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এই ছাত্রসমাবেশ দেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর একটি প্রতীকী সমাবেশে পরিণত হতে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি দরদের জায়গা থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীর পাশাপাশি অসংখ্য সাধারণ শিক্ষার্থীও সমাবেশে অংশ নেবেন বলে জানান ছাত্রলীগ সভাপতি। জনদুর্ভোগ ও শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে শুক্রবার ছুটির দিনে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘দেশবিরোধী যেকোনো অপশক্তির অপতৎপরতাকে রুখে দিতে আমরা লাখো তরুণকে নিয়ে শপথ নিতে চাই। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর, আগামীকালের ঐতিহাসিক ছাত্রসমাবেশ থেকে বার্তাটি আমরা সারা বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চাই৷’
সমাবেশের সার্বিক শৃঙ্খলা নিশ্চিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পরামর্শ নিয়ে আজই সাংগঠনিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলেও জানান শেখ ওয়ালী আসিফ।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবু সাঈদ কনক, রনি মুহাম্মদ, বরিকুল ইসলাম বাঁধন, আবদুল আলীম খান, রবিউল হাসান রানা ও আবদুর রহিম সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হোসেন শান্ত, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক মুসান্না আল গালিব, মাদ্রাসা শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।







Add comment