কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের দুই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। তাঁর নাম মো. সলিম (৪৫)। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-২) বি-ডব্লিউ-৯ ব্লকের কবরস্থানের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
মো. সলিম উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৭) নজির হোসেনের ছেলে। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশ্রয়শিবিরের এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, গতকাল রাতে ক্যাম্প-২ পশ্চিমের বি-ডব্লিউ-৯ ব্লকের কবরস্থানের পাশে মুখোমুখি হন আরসা ও আরএসওর সদস্যরা। কিছুক্ষণ পরপর উভয় পক্ষ থেমে থেমে গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. সলিম মাটিতে লুটে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। সশস্ত্র গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা আবার সংঘর্ষে জড়াতে পারে, এই আশঙ্কায় সাধারণ রোহিঙ্গারা ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না।
এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মো. সলিমকে উদ্ধার করে আশ্রয়শিবিরের এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আজ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ এবং নিহত সলিম আরএসও সদস্য কি না, সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
এর আগে ১০ জুলাই সকালে উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-১৭) আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সঙ্গে আরসার গোলাগুলি ও সংঘর্ষে হোসেন আহমদ প্রকাশ কায়সার (৪১) নামের আরসার একজন শীর্ষ কমান্ডারের মৃত্যু হয়। পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে একাধিক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন রোহিঙ্গা মাঝি, ১৮ জন আরসা সদস্য, ১ জন আরএসও সদস্য, ১ জন স্বেচ্ছাসেবক ও অন্যরা সাধারণ রোহিঙ্গা।







Add comment