Nazihar News Network
News frzom Nazihar It Solution

স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে মনোযোগ দিচ্ছি

চন্দনা সামারাসিংহে: বাংলাদেশের ফ্রিজের বাজার ধারাবাহিকভাবে বড় হচ্ছে। বিদ্যুৎ–সংযোগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফ্রিজের বাজারও বড় হচ্ছে। বাংলাদেশের বাজারে ফ্রিজের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে সিঙ্গার অন্যতম। আমরা ফ্রেশ-ও-লজি এবং নিউট্রিলক প্রযুক্তিসহ ফ্রেশনেস সিরিজের ফ্রিজ বাজারে এনেছি, যা ফ্রোজেন খাবারের সতেজতা নিশ্চিত এবং পুষ্টি সংরক্ষণ করে। এই ফ্রিজের উল্লিখিত প্রযুক্তিগুলো ছাড়া আরও কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য যেমন বেস ড্রয়ার, বোতল হোল্ডারসহ অন্যান্য সুবিধা বাংলাদেশি ভোক্তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্থাপন করা হয়েছে।

প্রথম আলো: বাজারে সিঙ্গার ওয়াশিং মেশিনের চাহিদা কেমন? বছরের কোন সময় থেকে আপনারা ওয়াশিং মেশিন বিক্রি শুরু করেন? সিঙ্গার ওয়াশিং মেশিনের গ্রাহক কারা?

চন্দনা সামারাসিংহে: সিঙ্গার বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওয়াশিং মেশিন ব্র্যান্ড। সিঙ্গার ওয়াশিং মেশিন এ বছর সুপার ব্র্যান্ডের মর্যাদা পেয়েছে, যা ব্র্যান্ড সম্পর্কে মানুষের মতামতের সাক্ষ্য। ওয়াশিং মেশিনের সারা বছর চাহিদা থাকলেও শীতের মৌসুমে বিক্রি কিছুটা বেড়ে যায়।

প্রথম আলো: ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণে ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম বেড়েছে। সিঙ্গারের পণ্যের দাম গ্রাহকদের নাগালের মধ্যে রাখতে আপনারা কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন?

চন্দনা সামারাসিংহে: অত্যধিক জ্বালানিমূল্য এবং বিনিময়ের হারের কারণে পুরো বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে ইলেকট্রনিক পণ্যের বাজারেও। কাঁচামাল ও খুচরা যন্ত্রাংশের দাম বেড়েছে। সরকার সিবিইউ (কমপ্লিট বিজনেস ইউনিট) আমদানিকেও নিরুৎসাহিত করছে। তারা স্থানীয় উৎপাদনে ছাড় ও সুবিধা দিচ্ছে। অতএব, আমরা স্থানীয় উৎপাদন এবং সংযোজনের ওপর আরও বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। এতে ভোক্তারা উপকৃত হবেন। কারণ, এতে দাম অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক হবে।

প্রথম আলো: জাপান অর্থনৈতিক অঞ্চলে সিঙ্গার একটি কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। সেটির অগ্রগতি কী? সিঙ্গার এ কারখানায় কী পণ্য উৎপাদন করবে?

চন্দনা সামারাসিংহে: আমরা কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ২০২৪ সাল থেকে উৎপাদন শুরু করতে পারব। আমরা সেখানে রেফ্রিজারেটর, এলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন, এয়ার কন্ডিশনার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ইত্যাদি তৈরি করব।

প্রথম আলো: বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনের জন্য বেশ কিছু দেশীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং কারখানা গড়ে উঠেছে। স্থানীয় এই উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় মূল্য সংযোজন বাড়াতে আর কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?

চন্দনা সামারাসিংহে: বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য স্থানীয় উৎপাদনে বিনিয়োগ সব সময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেশে বৈশ্বিক প্রযুক্তি এবং দক্ষতা নিয়ে আসবে। একই সঙ্গে তা স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রথম আলো: দেশে তৈরি গৃহস্থালি ইলেকট্রনিক পণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা কতটুকু? এ সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?

চন্দনা সামারাসিংহে: বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০৪১-এ শিল্প উন্নয়নকে অভূতপূর্ব উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গার বাংলাদেশও সেই স্বপ্নে বিশ্বাসী। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টেকসই হলে আমরা আশা করি, স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ইলেকট্রনিক পণ্য রপ্তানি করতেও সক্ষম হব আমরা। এ জন্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য বিনিয়োগ করছি। বাজারের পরিধি বৃদ্ধি পেলে আমরাও ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা ভাবব।

চন্দনা সামারাসিংহে: বাংলাদেশের ফ্রিজের বাজার ধারাবাহিকভাবে বড় হচ্ছে। বিদ্যুৎ–সংযোগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফ্রিজের বাজারও বড় হচ্ছে। বাংলাদেশের বাজারে ফ্রিজের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে সিঙ্গার অন্যতম। আমরা ফ্রেশ-ও-লজি এবং নিউট্রিলক প্রযুক্তিসহ ফ্রেশনেস সিরিজের ফ্রিজ বাজারে এনেছি, যা ফ্রোজেন খাবারের সতেজতা নিশ্চিত এবং পুষ্টি সংরক্ষণ করে। এই ফ্রিজের উল্লিখিত প্রযুক্তিগুলো ছাড়া আরও কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য যেমন বেস ড্রয়ার, বোতল হোল্ডারসহ অন্যান্য সুবিধা বাংলাদেশি ভোক্তাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্থাপন করা হয়েছে।

প্রথম আলো: বাজারে সিঙ্গার ওয়াশিং মেশিনের চাহিদা কেমন? বছরের কোন সময় থেকে আপনারা ওয়াশিং মেশিন বিক্রি শুরু করেন? সিঙ্গার ওয়াশিং মেশিনের গ্রাহক কারা?

চন্দনা সামারাসিংহে: সিঙ্গার বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওয়াশিং মেশিন ব্র্যান্ড। সিঙ্গার ওয়াশিং মেশিন এ বছর সুপার ব্র্যান্ডের মর্যাদা পেয়েছে, যা ব্র্যান্ড সম্পর্কে মানুষের মতামতের সাক্ষ্য। ওয়াশিং মেশিনের সারা বছর চাহিদা থাকলেও শীতের মৌসুমে বিক্রি কিছুটা বেড়ে যায়।

প্রথম আলো: ডলারের মূল্যস্ফীতির কারণে ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম বেড়েছে। সিঙ্গারের পণ্যের দাম গ্রাহকদের নাগালের মধ্যে রাখতে আপনারা কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন?

চন্দনা সামারাসিংহে: অত্যধিক জ্বালানিমূল্য এবং বিনিময়ের হারের কারণে পুরো বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে ইলেকট্রনিক পণ্যের বাজারেও। কাঁচামাল ও খুচরা যন্ত্রাংশের দাম বেড়েছে। সরকার সিবিইউ (কমপ্লিট বিজনেস ইউনিট) আমদানিকেও নিরুৎসাহিত করছে। তারা স্থানীয় উৎপাদনে ছাড় ও সুবিধা দিচ্ছে। অতএব, আমরা স্থানীয় উৎপাদন এবং সংযোজনের ওপর আরও বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। এতে ভোক্তারা উপকৃত হবেন। কারণ, এতে দাম অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক হবে।

প্রথম আলো: জাপান অর্থনৈতিক অঞ্চলে সিঙ্গার একটি কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। সেটির অগ্রগতি কী? সিঙ্গার এ কারখানায় কী পণ্য উৎপাদন করবে?

চন্দনা সামারাসিংহে: আমরা কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ শুরু করেছি। আশা করছি, ২০২৪ সাল থেকে উৎপাদন শুরু করতে পারব। আমরা সেখানে রেফ্রিজারেটর, এলইডি টিভি, ওয়াশিং মেশিন, এয়ার কন্ডিশনার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ইত্যাদি তৈরি করব।

প্রথম আলো: বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনের জন্য বেশ কিছু দেশীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং কারখানা গড়ে উঠেছে। স্থানীয় এই উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় মূল্য সংযোজন বাড়াতে আর কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?

চন্দনা সামারাসিংহে: বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য স্থানীয় উৎপাদনে বিনিয়োগ সব সময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেশে বৈশ্বিক প্রযুক্তি এবং দক্ষতা নিয়ে আসবে। একই সঙ্গে তা স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রথম আলো: দেশে তৈরি গৃহস্থালি ইলেকট্রনিক পণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা কতটুকু? এ সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?

চন্দনা সামারাসিংহে: বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০৪১-এ শিল্প উন্নয়নকে অভূতপূর্ব উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গার বাংলাদেশও সেই স্বপ্নে বিশ্বাসী। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি টেকসই হলে আমরা আশা করি, স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে ইলেকট্রনিক পণ্য রপ্তানি করতেও সক্ষম হব আমরা। এ জন্য স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের জন্য বিনিয়োগ করছি। বাজারের পরিধি বৃদ্ধি পেলে আমরাও ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা ভাবব।

Add comment

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.