Nazihar News Network
News from Nazihar It Solution

এতোসব সার্কাসের ভীড়ে আমি বেশ ভালো আছি: আসিফ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব জনপ্রিয় শিল্পী আসিফ আকবর। ব্যক্তিগত বিষয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে পোস্ট দিয়ে থাকেন তিনি। এবার নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে বর্তমান সময়ের গান ও ব্যবসা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, গত বাইশ বছর অডিও সার্কিটের সব ডাইমেনশনে কাজ করেছি। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ক্যাসেট সিডির যুগ গত হয়েছে ২০১০ সালেই। এখন ইউটিউবের যুগও ধুঁকছে, একটি গানে কোটি ভিউয়ে রিটার্ন বিশ হাজার টাকাও আসে না। মিউজিক ভিডিওতে মোটা অঙ্ক বিনিয়োগ করে ভিউয়ের ইঁদুর দৌড় আপাতত শেষ। গানের প্রডিউসররা তাদের বিনিয়োগ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নাটকের পিছনে, সেই খাতও মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। নাটকের ভিতরে গান ঢুকিয়ে আপৎকালীন অক্সিজেন দিয়ে গানের ব্যবসার দিনও শেষ। সব মিলিয়ে গানের বাজারে পেশাদার অডিও প্রযোজকরা এখন সরে যেতে বাধ্য হয়েছে, আর কখনোই ফিরে আসবে না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব জনপ্রিয় শিল্পী আসিফ আকবর। ব্যক্তিগত বিষয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে পোস্ট দিয়ে থাকেন তিনি। এবার নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে বর্তমান সময়ের গান ও ব্যবসা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, গত বাইশ বছর অডিও সার্কিটের সব ডাইমেনশনে কাজ করেছি। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ক্যাসেট সিডির যুগ গত হয়েছে ২০১০ সালেই। এখন ইউটিউবের যুগও ধুঁকছে, একটি গানে কোটি ভিউয়ে রিটার্ন বিশ হাজার টাকাও আসে না। মিউজিক ভিডিওতে মোটা অঙ্ক বিনিয়োগ করে ভিউয়ের ইঁদুর দৌড় আপাতত শেষ। গানের প্রডিউসররা তাদের বিনিয়োগ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নাটকের পিছনে, সেই খাতও মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। নাটকের ভিতরে গান ঢুকিয়ে আপৎকালীন অক্সিজেন দিয়ে গানের ব্যবসার দিনও শেষ। সব মিলিয়ে গানের বাজারে পেশাদার অডিও প্রযোজকরা এখন সরে যেতে বাধ্য হয়েছে, আর কখনোই ফিরে আসবে না।

তিনি আরও বলেন, প্রযোজকদের দ্রুত মুনাফা অর্জনের ধান্দা আর গানের সাথে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের ভুলের কারণেই গানের বাজার মৃত। এখন অ্যামেচার শিল্পী আর মৌসুমী প্রযোজকদের জন্যই কিছু বিনিয়োগ ঢুকছে। ইউটিউব নির্ভরতার কারণে মূলত এই বিপর্যয়। বিশ্বের প্রায় দুইশো অ্যাপ বা পোর্টালে ডিজিটালি গান বিক্রির সুযোগ আছে, সেখানে কোম্পানিগুলো পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন বিনিয়োগের সক্ষমতাও হারিয়েছে। কপিরাইটের আইনী দূর্বলতায় সিনেমার গানের রেভিনিউ একচেটিয়া ভোগ করছে দু’একটি কোম্পানি, এবং তারা পুরোটাই ফাও খাচ্ছে। আসছে রোজার ঈদের অডিও বাজার দেখলেই সবাই বুঝে যাবেন গানের বাজারের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।

পোস্টের শেষে তিনি বলেন, গ্রামীণফোন ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়ে গানের সাথে সমস্ত সম্পৃক্ততা গুটিয়ে নিয়েছে। অতিউৎসাহী কিছু শিল্পী গীতিকার সুরকারের মামলার কারণে অন্য টেলকোগুলোও গানের জগতে ব্যবসা বৃদ্ধির আগ্রহ দেখায়নি। এই ফাঁকে গানের বাজারের দখল নিবে বহুজাতিক কোম্পানি। তবে সেখানে লিমিটেড কিছু আর্টিস্ট ছাড়া সবার কাজের সুযোগ থাকবে না। মিউজিক ভিডিওতে লাগামহীন পুঁজি খাটানো প্রযোজকদের হিসাব মিলাতে গিয়ে মাথার চুলে পাক ধরেছে ইতিমধ্যে। দীর্ঘ গবেষণায় নিশ্চিতভাবে বলতে পারি কোনো অডিও কোম্পানি আর কখনোই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। গীতিকার সুরকার শিল্পী আর প্রযোজকদের মধ্যে বানরের পিঠা ভাগের মতো যুদ্ধ চলছে চলবে, আর এটাই এই দেশের স্বার্থপর শিল্পীসমাজের আসল নিয়তি। এতোসব সার্কাসের ভীড়ে আমি বেশ ভালো আছি। আলহামদুলিল্লাহ

Add comment

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.