হিনডেনবার্গ সেই প্রতিবেদন প্রকাশের পরই পেমেন্ট কোম্পানি ব্লক ইনকরপোরেটেড ও টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসি কয়েক মিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ডরসির সম্পদ কমেছে ৫২৬ মিলিয়ন (৫২ কোটি ৬০ লাখ ডলার)। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে ১১ শতাংশ পতনের পর তাঁর সম্পদমূল্য এখন ৪ দশমিক ৪ বিলিয়নে পৌঁছেছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্লক ইনকরপোরেশন বেআইনিভাবে একাধিক ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে সংস্থার গ্রাহকসংখ্যা বাড়িয়েছে। শুধু তা-ই নয়, কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করেও প্রচুর মুনাফা করেন জ্যাক ডরসি। পুরো বিষয়টির সঙ্গে জড়িত ছিলেন ব্লক ইনকরপোরেশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সংস্থাটি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং হিনডেনবার্গ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। বৃহস্পতিবার ব্লকের শেয়ার ২২ শতাংশ কমে ১৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
জ্যাক ডরসি টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। পরে ইলন মাস্কের কাছে বিক্রি হয়ে যায় টুইটার।
হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, জালিয়াতি করে ব্লকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এ-ও দাবি করা হয়, ব্লক ইনকরপোরেশনের সাবেক কর্মীরাই নাকি প্রতিষ্ঠানটির ভুয়া অ্যাকাউন্টের কথা হিনডেনবার্গের কাছে স্বীকার করেছেন। এদিকে হিনডেনবার্গের দাবি, এসব ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলোর বিষয়টি ব্লক জানত। তারপরও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

জ্যাক ডরসি বলেছেন, ‘ভুল ও বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনের’ জন্য হিনডেনবার্গের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন তিনি। ব্লুমবার্গের সূচক অনুযায়ী ব্লকে জ্যাক ডরসির শেয়ারের মূল্য ৩ বিলিয়ন, ইলন মাস্কের টুইটারের শেয়ারমূল্য ৩৮৮ মিলিয়ন।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিল প্রতিষ্ঠানটি। হিনডেনবার্গের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলার কমে যায়। ফলে ব্লুমবার্গের বিশ্বের অতিধনী তথা শতকোটিপতির (বিলিয়নিয়ার) তালিকায় গৌতম আদানির অবস্থান ২ থেকে ৪০-এ নেমে যায়। এখন অবশ্য তিনি ২১তম অবস্থানে আছেন। বর্তমানে তাঁর সম্পদের নিট মূল্য ৬০ বিলিয়ন বা ৬ হাজার কোটি ডলার। হিনডেনবার্গ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা নিকোলা করপোরেশনকে নিয়েও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। এতে নিকোলার আয় কমে যায়। তদন্তের ফলে সেই বছরের অক্টোবরে এর প্রতিষ্ঠাতা ট্রেভর মিল্টনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি অভিযোগ প্রমাণিত হয়।







Add comment