অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকটা দারুণভাবে রাঙিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফ্রান্সের ৪-০ গোলের জয়ে করেছেন জোড়া গোল, আর অন্য একটি করিয়েছেন আতোয়াঁন গ্রিজমানকে দিয়ে। এর আগে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এমবাপ্পে, আর এবার করলেন জোড়া গোল।
আর এ ম্যাচে জোড়া গোল করে ফ্রান্সের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় এমবাপ্পে পেছনে ফেলেছেন করিম বেনজেমাকে। যদিও সব মিলিয়ে এমবাপ্পের অবস্থান এখন পাঁচে। তবে যে গতিতে ছুটছেন, তাতে সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে ওঠাটা এমবাপ্পের জন্য সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে।
এ ম্যাচে মাঠে নামার আগপর্যন্ত এমবাপ্পের গোল ছিল ৬৬ ম্যাচে ৩৬ গোল। অন্য দিকে বেনজেমার গোল ছিল ৯৭ ম্যাচে ৩৭। অধিনায়কের বাহুবন্ধনী পরে খেলতে নেমে ম্যাচের শুরুতেই আতোয়াঁন গ্রিজমানের গোলে সহায়তা করেন এমবাপ্পে।
এরপর ২১ মিনিটে চুয়ামেনির থ্রু পাস থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করেন এমবাপ্পে। এই গোল করে এমবাপ্পে গোল করায় ছুঁয়ে ফেলেন বেনজেমাকে। এরপর ম্যাচের ৮৮ মিনিটে দারুণ এক গোলে ছাড়িয়ে যান বেনজেমাকে।
এমবাপ্পের সামনে এখন আছেন ৪ জন। ১২০ ম্যাচে ৫৩ গোল নিয়ে সবার ওপর আছেন অলিভিয়ের জিরু। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি। ১২৩ ম্যাচে সাবেক আর্সেনাল তারকা ফ্রান্সের হয়ে গোল করেছিলেন ৫১টি।
পরের স্থানটি এমবাপ্পের সতীর্থ গ্রিজমানের, যিনি ১১৮ ম্যাচে করেছেন ৪৩ গোল। চতুর্থ স্থানে থাকা মিশেল প্লাতিনির গোল ৭২ ম্যাচে ৪১টি। তবে মাত্র ২৪ পেরোনো এমবাপ্পে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে বাকিদের পেছনে ফেলতে খুব বেশি হয়তো লাগবে না তাঁর।
পরিসংখ্যান বলছে, শীর্ষ পাঁচে থাকা বাকিরা এমবাপ্পের বয়সে (২৪ বছর ৩ মাস) তাঁর ধারেকাছেও ছিলেন না। এ বয়সে শীর্ষে থাকা জিরু গোলের খাতা খোলেননি। আর অঁরির গোল ছিল ১১টি, গ্রিজমানের ৫টি এবং প্লাতিনি ১১টি। আর এমবাপ্পের এখনই ৩৮টি। এই পিএসজি তারকা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামেন, সেটাই দেখার এখন অপেক্ষা।







Add comment