Nazihar News Network
News from Nazihar It Solution Limited

পুঁজিবাজার থেকে ৯০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে বাংলালিংক

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ১০ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজারে আসছে বেসরকারি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক লিমিটেড। পুঁজিবাজার থেকে ৯০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে কোম্পানিটি। ১০ টাকা ফেস ভ্যালুতে (অভিহিত মূল্যে) এই অর্থ উত্তোলন করবে কোম্পানিটি।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ১০ শতাংশ শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজারে আসছে বেসরকারি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক লিমিটেড। পুঁজিবাজার থেকে ৯০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে কোম্পানিটি। ১০ টাকা ফেস ভ্যালুতে (অভিহিত মূল্যে)  এই অর্থ উত্তোলন করবে কোম্পানিটি।

এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

সভায় বিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদসহ বিএসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আর বাংলালিংকের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কান তারজিগলুর নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

বাংলালিংকের পেইড আপ ক্যাপিটাল ৮ হাজার কোটি টাকা। নতুন করে আরও ৯০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি হবে। এটি বহুজাতিক কোম্পানি। এ খাতে আরও দুটি বহুজাতিক কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- গ্রামীণ ফোন ও রবি আজিয়াটা লিমিটেড।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন সিএসইসির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আইপিওর ফিক্স প্রাইস পদ্ধতিতে বাংলালিংক পুঁজিবাজারে থেকে ৯০০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে চায়।

উল্লেখ্য, মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংক মাল্টার টেলিকম ভেঞ্চারস লিমিটেডের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। যা গ্লোবাল টেলিকম লিমিটেডের ১০০ শতাংশ মালিকানাধীন একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চালু হওয়া প্রতিষ্ঠানটির বর্তমানে ৪ কোটি গ্রাহকের সংখ্যায় পৌঁছেছে। ২০২২ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ১২ শতাংশ  প্রবৃদ্ধি রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানির আয় ৫ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ডাটা খাতে আয় হয়েছে ৪ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, বাংলালিংক টেলিকম পরিষেবাগুলোকে জনগণের জন্য সাশ্রয়ী করার জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। এটি ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করছে ও সাম্প্রতিক ফলাফল ভবিষ্যতের টেকসই কর্মক্ষমতার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি নির্দেশ করে।

তিনি বলেন, ডাবল ডিজিটের আয় বৃদ্ধি ও বাজারে ব্যতিক্রমী ডিজিটাল সেবা প্রদানের মাধ্যমে বাংলালিংক এখন দেশব্যাপী ৪ কোটির বেশি গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে বাংলালিংকের সাফল্যের গল্পের অংশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এর সঙ্গে মিল রেখে বাংলালিকের সঙ্গে বিএসইসির একটি ভালো আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতের সুযোগগুলো অন্বেষণ করতে একসঙ্গে কাজ করা হবে। 

Add comment

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.