Nazihar News Network
News from Nazihar It Solution Limited

গুচ্ছে থাকছে জগন্নাথ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, আগামীবার অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা

একসময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদাভাবে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নিত। ফলে শিক্ষার্থীদের সীমাহীন দুর্ভোগের সঙ্গে ছিল আর্থিক ক্ষতিও। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে আলোচনা, চেষ্টা ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের নির্দেশনার পর ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথমে গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করে কৃষি ও কৃষিশিক্ষাপ্রধান সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়। এ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা পরীক্ষা দিতে হয় না। একটি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী তাঁর যোগ্যতা ও পছন্দ অনুযায়ী গুচ্ছে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও (রুয়েট) আলাদা একটি গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। এই দুই গুচ্ছের পরীক্ষা নিয়ে বড় কোনো সমস্যার কথা শোনা যায়নি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এবারও গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এর আগে এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা না নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই দুটিসহ দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আসন্ন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। আর আগামী বছর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিন্ন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ৮০ ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করছে। আগামী বছর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইউনিক (অভিন্ন) পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে

অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর, ইউজিসি সদস্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক

গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা ত্রুটিমুক্ত ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার বিষয়ে আজ সোমবার ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সভা থেকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দ্রুত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ ও ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ক্লাস শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি। এ ছাড়া ভর্তি পরীক্ষার প্রক্রিয়া সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সভায় জানানো হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ইউজিসির সদস্যরা, গুচ্ছভুক্ত ১৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইউজিসি সচিব অংশ নেন।

একসময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদাভাবে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নিত। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে আলোচনা, চেষ্টা ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের নির্দেশনার পর ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথমে গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করে কৃষি ও কৃষিশিক্ষাপ্রধান সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়।

একসময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদাভাবে নিজেদের ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নিত। ফলে শিক্ষার্থীদের সীমাহীন দুর্ভোগের সঙ্গে ছিল আর্থিক ক্ষতিও। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে আলোচনা, চেষ্টা ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের নির্দেশনার পর ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথমে গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করে কৃষি ও কৃষিশিক্ষাপ্রধান সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়। এ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা পরীক্ষা দিতে হয় না। একটি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী তাঁর যোগ্যতা ও পছন্দ অনুযায়ী গুচ্ছে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও (রুয়েট) আলাদা একটি গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। এই দুই গুচ্ছের পরীক্ষা নিয়ে বড় কোনো সমস্যার কথা শোনা যায়নি।

দুই বছর ধরে দেশের সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো (২২টি) গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। কিন্তু একই গুচ্ছে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি নিয়ে এখনো সংকটগুলো কাটেনি। ‘জটিলতার’ কারণে এখানে ভর্তির কাজ শেষ করতে দীর্ঘ সময় লাগছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিও রয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা, আন্তরিকতার অভাব, ‘ইচ্ছাকৃত সংকট’ তৈরি করে রাখাসহ কয়েকটি কারণেই মূলত এই সমস্যা হচ্ছে।

এ অবস্থায় কয়েক দিন আগে গুচ্ছভুক্ত হয়ে সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল। অবশ্য সেদিন বলা হয়, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষার বিপক্ষে অবস্থান নেন। এ অবস্থায় আজ ইউজিসির সভায় ভিন্ন সিদ্ধান্ত এল।

সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করায় দেশবাসী উষ্ণ অভিবাদন জানিয়েছে। তারা বলেছে, এটি একটি ভালো পরীক্ষাপদ্ধতি। নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাই বলে এখান থেকে পিছু হটার বা বের হয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ইউজিসি সদস্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ৮০ ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করছে। আগামী বছর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইউনিক (অভিন্ন) পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Add comment

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.