Nazihar News Network
News from Nazihar It Solution Limited

সরকারি স্কুলে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ সহোদর শিক্ষার্থী ভর্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালায় কিছুটা সংশোধন করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী, চলতি শিক্ষাবর্ষে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শুরুর শ্রেণি (এন্ট্রি শ্রেণি) থেকে অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ আসনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর ভাইবোনদের ভর্তি করা যাবে। অর্থাৎ, কোনো শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে ভর্তি হয়ে থাকলে বা অধ্যয়নরত থাকলে তার সহোদর, সহোদরা বা যমজ ভাইবোনদের মধ্যে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত আসনের বাইরেও ৫ শতাংশ আসনে ভর্তি করা যাবে।

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালায় কিছুটা সংশোধন করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী, চলতি শিক্ষাবর্ষে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শুরুর শ্রেণি (এন্ট্রি শ্রেণি) থেকে অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ আসনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর ভাইবোনদের ভর্তি করা যাবে। অর্থাৎ, কোনো শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে ভর্তি হয়ে থাকলে বা অধ্যয়নরত থাকলে তার সহোদর, সহোদরা বা যমজ ভাইবোনদের মধ্যে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত আসনের বাইরেও ৫ শতাংশ আসনে ভর্তি করা যাবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে ভর্তি নীতিমালার সংশোধনী অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা দিয়ে সব জেলা প্রশাসকদের চিঠি পাঠিয়েঠে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

গত ১৫ মার্চ জারি করা চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা ২০২২ ও সর্বশেষ সংশোধনী মোতাবেক সহোদর-সহোদরা বা যমজ ভাইবোনোর ভর্তির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

গত বছরের ডিসেম্বরে সরকারি স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর পর এ বছরের ১৫ জানুয়ারি এ নীতিমালা দুটি অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়। বিষয়টি জানিয়ে আদেশ জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আগের নীতিমালায় বলা ছিল, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর বা সহোদরা অথবা যমজ ভাইবোন যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকে, সেসব শিক্ষার্থীর ভাইবোনের আবেদন ভর্তি কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে এ সুবিধা কোনো দম্পতির সর্বোচ্চ দুই সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এ নীতিমালা অনুযায়ী, আসন নির্দিষ্ট ছিল না।

সংশোধিত নীতিমালায় আগের নীতিমালার বিষয়টি রেখে তার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ আসনে আবেদনকারী ভাইবোনের মধ্যে থেকে ভর্তি করাতে পারবে। তবে আবেদনের সংখ্যা বেশি হলে ভর্তি কমিটি লটারির মাধ্যমে এই ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে পারবে।

আগামী ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার সফটওয়্যারে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও সংশোধিত নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সব শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ডিজিটাল পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয় এই লটারি।

নীতিমালাতে আরও একটি সংশোধনী আনা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। আগের নীতিমালায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ও তার অধীনস্থদের কথা ছিল। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় উল্লেখ করার ফলে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ ও তার অধীন দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানেরাও এই সুযোগ পাবে।

Add comment

Follow us

Don't be shy, get in touch. We love meeting interesting people and making new friends.