বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে সরকার নাটক শুরু করেছে। হঠাৎ খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের কেন এতো দরদ? তিনি বলেন, যখন সময় আসবে তখন তিনি রাজনীতি করবেন।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন যখন হরতাল করেছে তখন সংবিধানে ছিল না। সংকট সমাধানে খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা করেছিলেন। যতবার ভোট চুরি হয়েছে তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ জতি। বিএনপি কখনো ভোট চুরি করেনি।
আওয়ামী লীগের লজ্জা হওয়া উচিত, বিএনপির ৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তারপর মামলা নিয়ে বাণিজ্য করে। পুলিশকে ব্যবহার করছে, র্যাবকে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সেই কমিশন নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে, সে নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠন করবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের প্রতি এ সরকারের কোনো জবাবদিহি নেই। ২০১৪ সালে ১৫৪ জনকে বিনাভোটে সংসদ সদস্য বানিয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় পার্টি, বাম দলের লোক আছে। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় এখন তাদের অনেকেই কথা বলছে। তারা বলছে, আওয়ামী লীগ খারাপের চেয়েও খারাপ।
তার দাবি, অগ্নিসন্ত্রাসের হোতা আওয়ামী লীগ নিজে। অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে এবার লাভ হবে না। সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলন এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আগস্ট মাস থেকে আমরা যখন চাল-ডাল, তেল-লবণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করতে শুরু করেছি তখন থেকে তারা গুলি করে হত্যা করতে শুরু করেছে। আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মী-আন্দোলনকারীকে প্রকাশ্যে রাজপথে গুলি করে মেরেছে।
এরই মধ্যে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনো আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মী জেলে রয়েছেন। এই যে ভয়াবহ একটি দুর্বিষহ অবস্থা। এ অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে এরই মধ্যে আইসিইউতে চলে গেছে। বিএনপি আইসিইউতে যাবে না।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় কেন? ভয় একটাই, সেটা আপনারা খুব ভালো করে জানেন, সেটা হলো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, জিএম সিরাজ, ওলামা দলের সভাপতি শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।







Add comment