মাদকদ্রব্য আইনে করা এক মামলার রায়ে যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল তাঁর। কিন্তু গ্রেপ্তার করা যাচ্ছিল না তাঁকে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বদলে ফেলেন নিজের বেশভূষা। লুকিয়ে ব্যবসা করছিলেন ঢাকায়। তবে শেষ রক্ষা হলো না তাঁর। ‘অনেক দিন’ চেষ্টার পর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারল। ওই আসামির নাম লিটন হাওলাদার। তাঁকে গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে মাদারীপুর মডেল থানা পুলিশ।
লিটন হাওলাদার (৪৫) মাদারীপুর সদর উপজেলার মধ্য খাগদী এলাকার মফিজ হাওলাদারের ছেলে। যাবজ্জীবন সাজা হওয়ার পর লিটন আট মাস ধরে পলাতক ছিলেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ২০১৮ সালের ১৭ মে ঢাকার কদমতলী থানায় লিটনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়। এই মামলায় ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত লিটনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। সাজা প্রদান করার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আদালত সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার জন্য মাদারীপুর সদর থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে লিটনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল উদ্দিন মিয়া জানান, ২০১৮ সালে হেরোইনসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন লিটন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে কদমতলী থানায় একটি মামলা করেন। একপর্যায়ে জামিনে বের হয়ে আসামি তাঁর বেশ পরিবর্তন করে ফেলেন। ঢাকার মোহাম্মদপুরে নানা ধরনের ব্যবসা শুরু করেন।
কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই আসামিকে ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে ধরতে পেরেছি। তাঁকে সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় মাদারীপুর সদর থানায় পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার আদালতে তাঁকে হাজির করা হবে।’







Add comment