যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হত্যার হুমকিদাতা দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এফবিআই) অভিযানের সময় গুলিতে নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার উটাহ অঙ্গরাজ্যে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মাথায় সেখানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো বাইডেনের সফর করার কথা।
নিহত ব্যক্তির নাম ক্রেইগ রবার্টসন। তিনি ফেসবুকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ম্যানহাটনের অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। অ্যালভিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ফৌজধারী অভিযোগগুলোর পক্ষে লড়া কৌঁসুলিদের একজন। বিশেষ করে তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা এক পর্নো তারকাকে দেওয়া ঘুষের অভিযোগের পক্ষে লড়ছেন।
স্থানীয় সময় বুধবার সকাল সোয়া ছয়টায় সল্ট লেক সিটি থেকে ৪০ মাইল দক্ষিণে প্রোভো নামক স্থানে রবার্টসনের বাড়িতে এফবিআই ওই অভিযান চালিয়েছিল। এএফবিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল। এর বাইরে এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার ফেসবুকে রবার্টসন হুমকির সঙ্গে অস্ত্রসহ স্নাইপারের ছদ্মবেশের ছবিও পোস্ট করেছিলেন। ওই পোস্টে বুধবার উটাহতে বাইডেনের সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেন, তিনি বাইডেনকে এম২৪ স্নাইপার রাইফেল দিয়ে হত্যা করবেন। এর মধ্য দিয়ে উটাহ বিখ্যাত হয়ে উঠবে।
রবার্টসনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, আরেক বার্তায় রবার্টসন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড ও নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিয়া জেমসের বিরুদ্ধেও হুমকির কথা প্রকাশ করেছিলেন। রবার্টসন তাঁর দুটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এমন অনেকগুলো সহিংসতামূলক বার্তা ও ছবি পোস্ট করেছিলেন।
অভিযোগে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ গত মার্চে অ্যালভিন ব্র্যাগকে হত্যার হুমকির কথা প্রকাশ করেছিল রবার্টসন। এরপরই তাঁর বিষয়টি এএফবিআইয়ের নজরে আসে। তখন এএফবিআইয়ের তদন্তের মুখে রবার্টসন বলেছিলেন, ওই পোস্টটি ছিল তাঁর খামখেয়ালিপনাবশত ‘কল্পনা’ মাত্র। তখন এফবিআইয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে বলা হয়েছিল, এরপর এমন কাজ করলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। তবে এতে তিনি থেমে যাননি। এরপর বিভিন্ন পোস্টে তিনি স্নাইপারদের ছদ্মবেশের ছবি পোস্ট করে একের পর এক সরকারি কর্মকর্তাদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
Add comment